যে খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়



এই আধুনিক জীবনে ফ্রিজের ব্যবহার কতো গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো নতুন করে বলতে হবে না। আমাদের এই নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় আমরা খাবার তৈরির অনেক উপাদান এবং অতিরিক্ত খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করি। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষেই জানি না ফ্রিজে কোন ধরণের খাবার বেশি ভালো থাকবে কিংবা কোন খাবার ফ্রিজে রাখলে পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় অথবা ফ্রিজে রাখা যায় না কোন খাবার। এমন অনেক খাবার আছে যা ফ্রিজে রাখার উপযুক্ত নয় এবং ফ্রিজে রাখলে খাবারগুলো নষ্ট হয় বা পুষ্টিগুণ ও স্বাদ কমে যায়, যা ফ্রিজে রাখা অন্য খাবারের উপরও প্রভাব ফেলে। আজ আমরা এমন কিছু খাবারের কথা জানবো যেগুলো ফ্রিজে রাখা থেকে বিরত থাকাই উত্তম। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক ফ্রিজে কোন খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়,পাউরুটি

ফ্রিজে পাউরুটি রাখলে কম তাপমাত্রার জন্যে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় যা পরে আর খাওয়া যায় না। তাই এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বাইরেই রাখুন।

ডিম
বিশেষজ্ঞদের মতে ফ্রিজে ডিম রাখা মোটেও ঠিক নয়। কারণ হলো, ফ্রিজে রাখলে ডিমের সাদা অংশের কার্যকারিতা কমে যায়। এছাড়া ফ্রিজে রাখার কারণে ডিমে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়।

কয়েক ধরণের ফল
তরমুজ, লেবু, মালটা, আপেল, কলা, কমলা ইত্যাদি ধরণের ফলগুলো ফ্রিজে রাখলে ফলের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ দুটোই কমে যায়।

আলু
ফ্রিজে আলু রাখলে আলুর আসল স্বাদ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রিজের বাইরে কোথাও রাখুন একটি কাগজের প্যাকেটে।

টমেটো
ফ্রিজে টমেটো রেখে দিলে স্বাদ নষ্ট হয়। এছাড়াও টমেটো ফ্রিজে রাখলে টমেটোর ভেতরটা একটু সেদ্ধ ধরণের হয়ে যায়। তাই টমেটো বাইরেই রাখুন।

পেঁয়াজ ও রসুন
অনেকেই পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রেখে দেন অথবা প্যাকেট ধরেই পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখেন। দুটোর কোনটিই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলেই দ্রুত পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং রসুনে কালচে দাগ পড়ে যায়। এগুলো বাইরেই রাখুন।

কেচাপ ও সয়াসস
আমরা অনেকেই কেচাপ ও সয়াসস ধরণের জিনিসগুলো ফ্রিজেই রাখি। কিন্তু এগুলো বাইরে রাখলেও কোনো ক্ষতি নেই বরং ফ্রিজে রাখলে স্বাদ নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে।

আচার
অনেকেই ভাবেন আচার ফ্রিজে রেখে দিলে অনেকদিন রাখা যাবে। কিন্তু আচার ফ্রিজে রাখলেই ছত্রাক পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় ও স্বাদও কমে যায়। ভালো হয় বাইরেই রাখলে এবং নিয়মিত রোদে দিন তাহলে ছত্রাক পড়বেনা।

কফি
আপনি যদি কফির প্যাকেট ফ্রিজে রেখে থাকেন তাহলে অনেক বড় ভুল করছেন। এতে করে কফির স্বাদ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে ও কফিও জমাট বেঁধে যাবে।

মধু
মধু ফ্রিজে রেখে দিলে নিচের দিকে জমাট বাধাঁ চিনির মতো হয়ে যায়। তাই মধু বাইরেই ঠাণ্ডা কোনো স্থানে রাখুন, নষ্ট হবে না।

বাটার
সাধারণ বাটারই হোক আর পিনাট বাটারই হোক না কেন ফ্রিজে রাখতে যাবেন না। স্বাদ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।

মসলা
মসলার স্বাদ অটুট রাখতে চান? তাহলে মসলা ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না। যদি বাটা মসলা অনেকটা সময় রাখতে চান তাহলেই রাখুন।

শীতকালীন সবজি
শীতকালীন ফল জাতীয় যে সব সবজি তা ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও পুষ্টিগুন নষ্ট হয়। সবচেয়ে ভালো হয় তাজা থাকতেই খেয়ে শেষ করা।

বাদাম ও খেজুর
বাদাম ও খেজুর বা শুকনো ফল ফ্রিজে রাখলে আরও বেশি শুকিয়ে একেবারেই শক্ত হয়ে যায় যা খাওয়ার উপযুক্ত থাকে না। তাই এগুলো বাইরে রাখাই ভালো।

পেঁয়াজ-
ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখা উচিত নয় অনেকেই জানেন। কারণ ফ্রিজের বদ্ধ জায়গায় ঠিকমতো বায়ু চলাচল হয় না। ফলে পেঁয়াজ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। আলু-পেঁয়াজকে সবসময় বায়ু চলাচল করে এমন জায়গায় রাখা উচিত।

কলা-
কলাও কিন্তু রয়েছে এই তালিকায়। ফ্রিজের ঠান্ডায় কলা পাকতে পারে না। ফলে কলা পচতে শুরু করে দ্রুত। হয়ে যায় কালোও। তাই কলা বাইরের খোলা হাওয়াতেই রাখুন।

আপেল-
আপেলের ক্ষেত্রেও তাই। যদিও অনেকেই আপেল ফ্রিজেই রাখেন। তবে মাথায় রাখবেন এই ফল ফ্রিজে রাখলেও খাওয়ার অন্তত ৩০মিনিট আগে বের করে বাইরে রাখুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে তারপরেই ধুয়ে খান।

টমেটো-
চেষ্টা করুন টাটকা টমেটো এনে তা ব্যবহার করে ফেলার। কারণ ফ্রিজে থাকা টমেটোর গন্ধ-স্বাদ দুইই কমে যায়।

No comments

Powered by Blogger.